Categories
Blogs

বিতর্কের বিষয় : Lee Min Ho is better than Park Seo Joon 13

প্রথমেই আমি বলে নিচ্ছি। আমি গ্রুপের এই বিতর্ক প্রতিযোগিতায় পুরোপুরিভাবে অংশ নিচ্ছি না।বিতর্কের বিষয় : Lee Min Ho is better than Park Seo Joon 13 তার একটাই কারণ, আমি কারো সাথে অন্য কাউকে তুলনা দেয়া ব্যক্তিগতভাবে খুব অপছন্দ করি। মিন হোর ফ্যান হওয়া স্বত্ত্বেও আমি অন্য ওপ্পাদের কখনো কটাক্ষ করে কিছু বলিনি। কিন্তু এই সময়ে আমার মনে হলো, আমার এমন একটি পোস্ট করা উচিত।

Lee Min Ho is better than Park Seo Joon 13

তাই করছি।বিতর্কের বিষয় ছিল, Park seo joon থেকে Lee min ho বেটার – এটাকে প্রমাণ করা। আমি মিন হো ওপ্পার ফ্যান। Seo joon এর ফ্যান না কিন্তু তাকে অপছন্দ করি না মোটেও। আমি তার ড্রামা দেখেছি এবং বলবো সে যথেষ্ট ভালো অভিনেতা।এবার আসি আমার পোস্টের টপিকে।

বিতর্কের বিষয় Lee Min Ho is better than Park Seo Joon 13

আমি বিতর্কের টপিক থেকে খানিকটা দূরে সরে যেতে চাই।আমার টপিকটা – তুলনা করে কে better সেটা না বলে, আমার নিজের কাছে Lee min ho কেন best সেটা সবার সামনে তুলে ধরা।আমি এখানে বিতর্কিত কয়েকটি কমেন্টস এবং পোস্টের উত্তর দিচ্ছি।

১) ওপ্পার সৌন্দর্য এবং অভিনয় দক্ষতা :
অনেকেই বলেছেন ওপ্পা শুধু সুদর্শন এবং সে অভিনয়ে দুর্বল। আমি তাদেরকে বলতে চাই । শুধুমাত্র handsome হয়ে Model হওয়া যায়, actor না। একজন অভিনেতা হওয়ার প্রথম শর্ত তার অভিনয় দক্ষতা। মিন হোর সেই দক্ষতা আছে বলেই তিনি একজন “অভিনেতা” হিসেবেই সবার কাছে পরিচিত এবং সমাদৃত।ওপ্পা সুদর্শন- একথা অনস্বীকার্য।

চেহারা দিয়ে role পেয়েছে

আমি আগেও এই ব্যাপারে পোস্ট এবং কমেন্ট করেছি। উদাহরণ দিয়ে বলি, ক্লাসের সবচেয়ে সুন্দরী মেয়েটিকে সবাই খুব পছন্দ করে। স্যার,ম্যামরাও তাকে প্রায়োরিটি দেয়। সে শুধুমাত্র সুন্দর না, মেধাবী, সৎ চরিত্রের অধিকারী। এমন আরো হাজারো গুণ থাকা সত্ত্বেও তার popularity নিয়ে সবাই প্রথমেই যেটা বলবে তা হলো সৌন্দর্য আরে,দেখতে ভালো, তাই সবাই পাত্তা দেয়।

“চেহারা দেখে ওকে নাম্বার দিয়ে দেয়” – এমন কথা কিছু মানুষ অবশ্যই বলবে। ওপ্পার ক্ষেত্রেও ব্যাপারটা ঠিক সেইম। মানুষ প্রথমেই যখন সুন্দর কাউকে দেখে তখন তার অন্য গুণগুলো থেকে সবার চোখ সরে ঠিক এক জায়গায়ই স্থির থাকে। তাই বাকি গুণ চোখে পড়ে না।ওপ্পাকে দেখে মানুষের প্রথমেই যেটা মাথায় আসে, ছেলেটা অনেক সুন্দর। আর তখন তার মনের অজান্তেই সে ভাবে, সুন্দর অনেক তাই নায়ক হতে পেরেছে।

চেহারা দিয়ে role পেয়েছে।এভাবে তার অভিনয় থেকে দর্শকের ফোকাস চলে যায় ঐ appearance এ। অভিনয় কেমন সেটা দেখার আগ্রহও চলে যায় অনেকের। আমরা যখন অসুন্দর কাউকে অভিনয় করতে দেখি, তখন প্রথমেই ভাবি, দেখতে ভালো না। তার মানে অভিনয় নিশ্চয়ই অনেক ভালো, না হলে কি অভিনেতা হতো !! তখন তার অভিনয়ে আপনি মনোনিবেশ করেন।

Boys over flowers

খোঁজার চেষ্টা করেন, ঠিক তার কোন গুণের কারণে সে অভিনেতা হতে পেরেছে, যেটা মিন হোর ক্ষেত্রে হচ্ছে না। কেননা, আপনি প্রথমেই তার বিমোহিত করা সৌন্দর্য দেখেছেন তাই আর অন্য গুণ খোঁজার চেষ্টা করছেন না।এক্ষেত্রে, আমি ওপ্পার একটা ড্রামার কথা বলবো। Boys over flowers. ড্রামাটা খুব বেশি জোস না, কিন্তু ওপ্পার অভিনয় সেখানে দুর্দান্ত ছিল।

আর মূল কথা সেখানে তাকে সেরকম কোন সুদর্শন লাগেনি। তাই তার ছোট ছোট অভিনয়গুলো খুব সুন্দরভাবে ধরা পড়েছে।ওপ্পা খুব সুন্দরভাবে প্রতিটি দৃশ্যে মানিয়ে যেতে পারে। সেটা rude rich guy হোক, spoiled child হোক অথবা দুষ্টু রোমান্টিক। ব্যর্থ প্রেমিকের চোখে যে না পাওয়ার হতাশা থাকে – এই ব্যাপারটি এতো সুন্দরভাবে সে পর্দায় তুলে ধরতে পারে।

তার চোখে আটকে থাকা পানি, যা আত্মমর্যাদার কারণে গড়িয়ে পড়তে পারছে না- এই দৃশ্য যদি মন থেকে দেখে থাকেন, তাহলে এই ছেলেকে ভালো না বেসে পারবেন না তাই সবার প্রতি অনুরোধ, তাকে সুদর্শন নায়ক হিসেবে না দেখে অভিনেতার নজরে তার অভিনয় দেখার চেষ্টা করেন।

রোমান্টিক চরিত্র

২) ওপ্পা রোমান্টিক চরিত্রের বাইরে অভিনয় কম করে কেন ? :Lee Min Ho is better than Park Seo Joon 13. এই টপিক আমি সবার প্রশ্ন দেখে পরে edit করেছি। তাকে নিয়ে এই প্রশ্নের জবাব হিসেবে কিছু কথা বলবো।” Chocolate boy ” এই কথাটির সাথে সবাই নিশ্চয়ই পরিচিত। বলিউড সহ বিভিন্ন জায়গায় এই লুকের ছেলেদের জন্য স্পেশালি রোমান্টিক ধরনের মুভিই বাছাই করা হয়ে থাকে।

Lee Min Ho is better than Park Seo Joon 13

অন্য কোন cruel, challenging চরিত্রে তাদেরকে নিতে পরিচালকসহ সবাই দ্বিধায় থাকে। কারণ একটাই, লুকের কারণে তাদেরকে চরিত্রগুলোর সাথে কম মানাবে। তাই সচরাচর এদের রোমান্টিক চরিত্রেই সীমাবদ্ধ থাকতে হয়। এজন্য নয় যে, তারা খারাপ অভিনেতা / সে চরিত্রে তাদের পারফরম্যান্স খারাপ হবে। সেই চরিত্রে তাদের কম মানাবে বলেই তাদেরকে ওরকম চরিত্রে কাস্ট করতে কেউ সহজে রাজি হয় না।

আমরা সবাই জানি, কাস্টিং শুধুমাত্র অভিনয় দেখে করা হয় না। পরিচালকের মাথায় সর্বপ্রথম ঘুরে এই চরিত্রের সাথে কাকে সবচেয়ে বেশি মানাবে। সেটা appearance, physique সবকিছু চিন্তা করেই কাস্ট করা হয়।ওপ্পার appearance ও এমনটাই । অনেকে তাকে “Chocolate boy” , ” lover boy” এসব বলে থাকেন। সেক্ষেত্রে ওপ্পার এমন চ্যালেঞ্জিং চরিত্রে অভিনয়ে এ ধরনের অনেক ব্যাপার বাধা হয়ে দাঁড়ায়।

cruel টাইপ চরিত্র

তার appearance এর সাথে cruel টাইপ চরিত্রগুলো কম যায় বলে তাকে প্রায় সবখানেই ” রোমান্টিক লাভার বয় ” হিসেবেই কাস্ট করা হয়। তার অভিনয় দক্ষতা না,বরং appearance ই এখানে মূল বিষয় হয়ে দাঁড়ায়।আমি শুরুতেই বলেছি, আমি কোন তুলনায় যাবো না।কিন্তু কিছু পোস্টের ব্যাপারে বলতে গিয়ে আমার এই কয়েক লাইন এড করতে হচ্ছে।বলা হয়েছে, ওপ্পা ভার্সেটাইল এক্টর না।

রোমান্টিক চরিত্রের বাইরের চরিত্র সে এড়িয়ে চলে। আচ্ছা, তাহলে উদাহরণ দেয়া যাক। মেয়েরা জামা কেনার ক্ষেত্রে সব সময় রং কে প্রাধান্য দেয়। সেক্ষেত্রে কেউ যদি বলে তোমাকে নীল রং এ মানায়। দেখা যাবে জামা কেনার সময় সে সবসময় এ রং কে প্রাধান্য দিবে। কোন বিশেষ প্রোগ্রামেও সে এই রং পরতে চায়বে। কেন ? তার কি অন্য রং এর জামা পরার সামর্থ্য নেই?

আছে। কিন্তু ঐ যে তাকে নীল রং এ ভালো মানায়, তাই সে ঐ জামাতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে,সেই রং পরলে সে কনফিডেন্ট থাকে। যেটা অন্য রং এ সম্ভব হয় না। মিন হোর ক্ষেত্রেও ব্যাপারটা এরকম। সে এসব চরিত্রে কনফিডেন্ট, স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে। এজন্য না যে, সে অভিনয় পারবে না। তাকে সেই চরিত্রে কম মানায়।

অভিনয়ের কথা

এখন যদি ওপ্পা এমন চরিত্রে অভিনয় করতেও চায় তাকে কি পরিচালক নিবে? ” Itaewon class” এর চরিত্রেই ভাবা যাক। অভিনয়ের কথা বাদ দেন। ৬ ফুট ২ ইঞ্চির অতি সুদর্শন এই মানুষটাকে বাটি কাটের চুলে কল্পনা করে দেখুন তো। পরিচালকের দরকার নেই, আপনি নিজেই বলতে পারবেন, তাকে কতোটা বেমানান, হাস্যকর লাগবে।

ওপ্পার appearance এ সম্ভ্রান্ত, rich guy – এসব চরিত্রই তার সাথে মানায়। তাই অন্য চরিত্রে তাকে কেউ কাস্টও করে না। আপনার অভিনয় দক্ষতা দেখাতে হলে অবশ্যই সে সুযোগ লাগবে। সেই সু্যোগের জন্য সৌভাগ্যের দরকার। আপনার সবকিছু খাপে খাপ মিললেই আপনি চরিত্রটি নিতে পারবেন। চরিত্রে যদি আপনাকে নেয়াই না হয়, তাহলে আপনি দক্ষতা কিভাবে দেখাবেন।

তাই বলে তার এই ব্যাপারগুলোকে নিয়ে বলতে পারেন না তার অভিনয় দক্ষতা নেই। সে দক্ষতা প্রকাশের মতো সুযোগ কতোটা হয়েছে তাও আপনার ভাবা উচিত।অনেকেই বলেছেন “কিং” এ সে ভালো অভিনয় করেছে, যা অন্য ড্রামায় করে নি। এক্ষেত্রে আমি একটি কথা বলবো। খেয়াল করে দেখবেন মিলিটারি থেকে আসার পর ওপ্পার সেই ” কিউট লুক ” বদলে “ম্যানলি লুকে” পরিবর্তিত হয়েছে।আর সেই কারণে king ড্রামায় তার গতানুগতিক চরিত্রের পরিবর্তন এসেছে।

ওপ্পার ক্যারিয়ার

অভিনয় তার আগেও ভালো ছিল। কিন্তু সে অভিনয় চোখে পড়ার মতো খাপে খাপ মেলানো appearance খুঁজে পান নি। যা এখন তুলনামূলকভাবে চোখে পড়ছে। ওপ্পার ক্যারিয়ার এখনো শেষ হয়ে যায় নি। আমরা ভবিষ্যতে হয়তো আরো চ্যালেঞ্জিং কোন চরিত্রে তাকে দেখতে পাবো। কিন্তু এই কথা বলতেই হয়, ” লাভার বয় ” চরিত্রে নিজের বেস্ট পারফরম্যান্স দেয়াতে কোন ছাড় দেয় না সে।

৩) তেমন শক্তিশালী প্লটের কোন ড্রামা করেনি :
অনেকেই বলে থাকেন কিং ছাড়া তার তেমন কোন ভালো স্টোরির ড্রামা নেই। সব টিপিক্যাল স্টোরি।এক্ষেত্রে যদি তাদের মতো করে বলি, অভিনেতা হিসেবে ওপ্পার স্ট্রাগল তো তাহলে অন্যদের চেয়ে কয়েক গুণ বেশি। যেখানে শক্তিশালী প্লটের বদৌলতে একজন অভিনেতা পরিচিতি পান।

তাহলে প্লট ছাড়া মিন হো কিভাবে পরিচিতি পায় ? কিভাবে এতো ফেমাস হয় ? উত্তর একটায়- তার ” সাবলীল অভিনয় “। এটাই তার অভিনয়ের শক্তিশালী পয়েন্ট। অন্যরা যখন ড্রামার বদৌলতে তাদের প্লে করা রোলের পরিচিতি পায়, তখন স্রোতের প্রতিকূলে থেকে মিন হো শুধুমাত্র তার প্লে করা চরিত্র দিয়েই ড্রামার প্রতি আকর্ষণ বাড়িয়ে দেয়, সেই ড্রামাকে সবার কাছে পরিচিত করে তোলে।

অভিনেতা হিসেবে তার দক্ষতা

তাহলে অভিনেতা হিসেবে তার দক্ষতা কি প্রশংসনীয় নয় ???কেননা, সে ড্রামার পরিচয়ে না, নিজের চরিত্রের পরিচয়ে ড্রামাকে পরিচিতি দেয়।এখন আসি, ” সাবলীল অভিনয় ” বলতে কি বুঝিয়েছি ?একজন অভিনেতার মূল সাফল্য – দর্শক যাতে তার অভিনয়কে নিছক অভিনয় না ভেবে, বাস্তব ভেবে বসে।

ওপ্পা যখন rude রোলে থাকে, আপনার মনে হবে এমন অহংকারী কোন মানুষ এই দুনিয়াতে আর নেই। সে যখন রোমান্টিক লুকে দেখে, আপনার মনে হবে আপনি হাজার মাইল দূর থেকেও যেন তার হৃৎস্পন্দন শুনতে পাচ্ছেন। সে যখন প্রেমে ব্যর্থ হয়ে ভালোবাসার জন্য আকুল হয়ে পড়ে, আপনার মনে হবে আপনি এখনই গিয়ে তাকে সান্ত্বনা দিয়ে আসেন।

ওপ্পা যখন কমেডি রোলে থাকে, আপনার বিন্দুমাত্র মনে হবে না সে আপনাকে জোর করে হাসাচ্ছে । কোন জোকার হিসেবে না, বরং সাধারণ মানুষের মতো করেই সে আপনাকে হাসিয়ে ফেলবে। ওপ্পা প্রতিটি রোলে একদম পানির মতো মিশে যায়। মূল কথা তার কোন অভিনয়ে আপনি “ওভারএক্টিং” খুঁজে পাবেন না।

Gu Jun pyo চরিত্রে

মনে হবে এই চরিত্র তার জন্যই বানানো। সে যখন Gu Jun pyo চরিত্রে অভিনয় করে , তখন আপনার মনে হবে সে বাস্তবে Lee min ho না, Jun pyo ই। আবার যখন আপনি তাকে Kim tan হিসেবে দেখবেন, মনে হবে সে বাস্তবেই Kim tan. চরিত্রগুলোর সাথে এতোটা মিশে যায় যে, আপনি যখন ড্রামা দেখেন, মনেই হবে না আপনি actor min ho কে দেখছেন, মনে হবে আপনি rich,rude, অহংকারী Junpyo কেই দেখছেন।

অনেকেই মিন হো বলতে এখনো junpyo নামেই বলে থাকেন। বফের জন্য Junpyo চরিত্রটি নয়,বরং junpyo চরিত্রের জন্যই Bof এতো ফেমাস হয়েছে।ড্রামার কয়টা চরিত্রই ড্রামার বাইরে নিজের চরিত্রের জন্য এমন আলাদা স্থান, আলাদা পরিচয় পেয়েছে ?? একজন অভিনেতার জন্য এটাই সবচেয়ে বড় সাফল্য- যখন মানুষ তার বাস্তবিক চরিত্র ভুলে ড্রামার চরিত্রেই তাকে চেনে, আপন করে নেয়।

এটাই তার অভিনয় দক্ষতা যখন কেউ তার অভিনয়কে অভিনয় না ভেবে বাস্তব ভেবে বসে। ওপ্পার রোমান্টিক কোন মুহূর্তে এসে প্রতিটা মেয়েই নায়িকার জায়গায় নিজেকে কল্পনা করে বসে। আহ, ছেলেটা তো যেন আমাকেই saranghe বলছে !! তার নায়িকার কাছাকাছি হওয়া, Intimate কোন মুহূর্তে আপনি মাঝে মাঝে বুঝতেই পারেন না, এখানে নায়ক- নায়িকার রোমান্স চলছে।

আপনার সাথেই ঘটছে

মনে হবে, যেন আপনার সাথেই ঘটছে, আপনার চোখের সামনেই। এমন সাবলীলভাবে, কোন ওভারএক্টিং ছাড়া নিজের চরিত্র ফুটিয়ে তুলতে পারা অবশ্যই একজন দক্ষ অভিনেতার পরিচয়।

৪) ওপ্পা কিভাবে এতো popularity পেয়েছে :
একজন অভিনেতার বাইরে সে একজন মানুষ। আর মিন হোর এই ব্যাপারটিই সবচেয়ে বেশি আকর্ষণীয়। অমায়িক ব্যবহার, সবাইকে ভালোবাসতে পারা এই বাচ্চাসুলভ ছেলেটা মুহূর্তেই মানুষের মন গলাতে পারে। ড্রামায় rude চরিত্রে অভিনয় করলেও বাস্তবজীবনে সে অনেকটা ছোট শিশুর মতো।

তার হাসি, ফ্যানদের প্রতি শ্রদ্ধার সাথে ভালোবাসা জানানো – এসব কিছুই তার প্রতি আকর্ষণ বাড়িয়ে দেয়। আর সবাই জানেন, করোনা পরিস্থিতিতে সর্বোচ্চ অনুদান করা মানুষটি আর কেউ নয়, আমাদের কিং । সুদর্শন, দক্ষ অভিনেতার পাশাপাশি তার এই অসাধারণ চরিত্রগুলোই তার এতো জনপ্রিয়তার কারণ।

কোরিয়া বলতেই

কোরিয়া বলতেই অনেকে মিন হো কে বুঝে। বলা হয়, বেশিরভাগ কোরিয়ান ড্রামা ফ্যানদের ফার্স্ট লাভ সে। অসাধারণ অভিনেতার সাথে সাথে বাস্তব জীবনেও সে একজন অসাধারণ মানুষ। তার যে fame, যে ফ্যান-ফলোয়ার্স তার পেছনে শুধু সুন্দর চেহারা না,বরং তার গুণ, ব্যবহার এবং সুন্দর একটি মনই হচ্ছে সবচেয়ে বড় কারণ। তাই তাকে সবাই এতো ভালোবাসে।

৫) তার কোন অভিনয় ভিত্তিক অর্জন নেই : এতো ফ্যানদের ভালোবাসা কি অর্জন মনে হয় না ?? আপনি আমি ৫০ বছর সাধনা করেও ঐ জায়গায় পৌঁছাতে পারবো না। এতো ভালোবাসা কেউ এমনিতে পায় না। কামব্যাক এর সাথে সাথেই ক্যারিয়ারে এতো সাফল্য অর্জন করা কি ছেলেখেলা ? এই সাফল্য এমনিতে আসেনি, সে অর্জন করেছে। হ্যা, ওপ্পার সব ড্রামা,মুভিই একদম সেই হিট হয়েছে এমন না।কিন্তু তার করা কোন চরিত্রই প্রশংসিত হয়নি – এমন নেই। অনেক awards , ফ্যানদের হাজার হাজারGifts , এতো এতো ভালোবাসা অবশ্যই তার জন্য বিরাট অর্জন।

একজন কোরিয়ান হেটার্সকেও যদি কোরিয়ান কোন অভিনেতার নাম বলতে বলেন, সে প্রথমেই বলবে মিন হোর কথা। সে এমন একজন মানুষ, even haters can’t ignore him. এক আপুর কমেন্ট থেকে কথাটি তুলে ধরলাম। ” বলিউডের অনেক অভিনেতা থাকা স্বত্ত্বেও কিং বলতে শাহরুখ কেই বুঝে সবাই। আর ঠিক তেমনি কোরিয়ার কিং হচ্ছে Lee min ho ”

মেয়েরা এতো পাগল

৬) মেয়েরা এতো পাগল কেন ওর জন্য : অনেক ছেলেরাই কেমন যেন জেলাস থাকে মিন হো কে নিয়ে। কারণ শুধু একটাই , মেয়েরা ওর জন্য পাগল। তাই বলে, মেয়েরা চেহারা দেখে পাগল। আমি এক্ষেত্রে বলবো, আপনারা ছেলেরা মেয়ে বলতেই ভাবেন, শুধু টাকা আর সুন্দর দেখে। ব্যাপারটা এমন না উপরে বলা প্রতিটি গুণই তার প্রতি মেয়েদের এতো ভালোবাসার কারণ।

মেয়েরা যে শুধু রোমান্টিক, rich, হ্যান্ডসাম পছন্দ করে এমন না। বেশিরভাগ মেয়েই একটা ছেলের মধ্যে খুঁজে সে মানুষ হিসেবে কেমন। কতটা kind, innocent, honest আর সবচেয়ে বেশি যা চায় তার পার্টনারকে ছেলেটা কতোটা রেস্পেক্ট দিচ্ছে, কতোটা কেয়ার করছে। ড্রামাতে মিন হোর এসব চরিত্রের পাশাপাশি তার বাস্তবজীবনে তার kindness এবং সবাইকে অনেক রেস্পেক্ট করা – এসবের জন্য মেয়েরা তার জন্য এতোটা পাগল।

শুধু সুন্দর দিয়ে ভালোবাসা পাওয়া গেলে মিন হোর চেয়েও অনেক সুন্দর আছে, কিন্তু তারা কেউই এতোটা ভালোবাসা পায় নি। ফ্যান হিসেবে যদি বলতে চান, তাহলে actor কথাটির সাথে সাথে একজন Idol হওয়ার ব্যাপারও থাকে। আর মিন হো কে শুধুমাত্র অভিনেতা হিসেবে না, Idol মেনেও তাকে সবাই শ্রদ্ধা করে, ভালোবাসে। আর একজন ফ্যানের এই ভালোবাসাকে আপনি শুধুমাত্র যুক্তি দিয়ে মূল্যায়ন করতে পারবেন না।

একজন ফ্যানের আবেগ

একজন ফ্যানের আবেগ এখানে সবচেয়ে বড় ব্যাপার। আবেগের কাছে যুক্তি ভিত্তিহীন। সে ভালো actor , সেটার হাজারো যুক্তি দেখানো গেলেও তাকে ভালোবাসি কেন – এর পেছনে কোন যুক্তি আনা যাবে না। ভালোবাসাকে যুক্তি দিয়ে বিচার করা হাস্যকর। যদি বিচার করা যেত, ড্রামায় অগোছালো মেয়েগুলোকে কেউ এভাবে ভালোবাসতো না।

৭) শেষ যে কথাটা বলবো। কাউকে ভালোবাসা ব্যাপারটা ঠিক হঠাৎ হয়ে যায়। মাঝে মাঝে কারণও খুঁজে পাওয়া যায় না। উদাহরণ দিয়ে বলি, প্রত্যেকের মা-ই তার কাছে বেস্ট। মা ভালো রাঁধতে না পারুক।অশিক্ষিত হোক, আনস্মার্ট হোক, অসুস্থ হোক। মা,মা-ই থাকবে। তার জায়গা কেউ নিতে পারবে না।

এটাই ভালোবাসা

কেননা, এটাই ভালোবাসা। তেমনি একজন ফ্যানের ভালোবাসাও। ভালোবাসার ওপ্পা ক্যারিয়ারে সফল হোক, ব্যর্থ হোক – ভালোবাসা বদলে যাবে না।আজ থেকে ১০ বছর পর যদি ওপ্পার জনপ্রিয়তা কমে যায়, আমি তাও ওপ্পাকে ভালোবাসবো, সাপোর্ট করবো। সেLee min ho ছিল, Lee min ho ই থাকবে।

কেউ সেটা বদলাতে পারবে না। এমন হাজার হেটার্স থাকলেও ওপ্পা তার জায়গাতেই থাকবে। আমার কাছে তাই আমার ওপ্পা বেস্ট। কে কার চেয়ে বেটার সেটা আমি ভাবতে চাই না। আমার কাছে min ho oppa অতুলনীয়। আর আমি সেই মানুষটিকেই ভালোবাসি।আজীবন বাসবো Saranghe oppa

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *