Recently ড্রামাটা শেষ করলাম। নাটকের নাম: FLOWER OF EVİL, প্রথমেই বলতে চাই ড্রামাটার happy ending দেখে যতটা happy হয়েছি তার থেকেও বেশি sad হয়েছি Happy হয়েছি কারণ ড্রামাটা অনেক সুন্দর ছিল sad হয়েছি কারণ মেইন লিডের রিয়েল কাহিনি শুনে খুব ভালো মুড নিয়েই ড্রামাটা দেখছিলাম হঠাত করে আমার ফ্রেন্ড বললো যে ড্রামার মেইন কাপল নাকি রিয়েল লাইফে ম্যারেড এই শুনে আমিতো সেই লেভেলের খুশি।
নাটকের নাম: FLOWER OF EVİL
কিন্তু খুশি ছিলাম মাত্র ১৫সেকেন্ড। তারপরেই সে বললো যে তাদের নাকি এরই মধ্যে ডিভোর্স হয়ে গেছে। এরপর থেকে পুরোটা টাইম ড্রামা দেখছিলাম আর ভাবছিলাম যে ড্রামাটার কি হ্যাপি এন্ডিং হবে? হলেও কি আমি হ্যাপি হবো? By the way, to be very honest thats a beautiful drama ড্রামার মেইন কাপলদেরতো ভালো লেগেছেই।
সাথে সাথে সেকেন্ড কাপলকেউ অনেক ভালো লেগেছে । ভাই সেকেন্ড লিড কাপলটা appreciate করার মতো। অনেক কম সেকেন্ড লিড কাপলকেই এত্ত ভালো লাগছে। সবথেকে ভালো লেগেছে যে ড্রামাতে কারো দেবদাসের মতো হৃদয় ভঙ্গন দেখতে হয়নি। Overall its worth watching
নাটকের নাম: FLOWER OF EVİL
Release Year: 2020
IMDb rating: 8.8/10
Personal rating: 10/10
সব মানুষ একটা সুন্দর স্মুথ জীবন পায় না, কারো কারো দুর্বিষহ অতিত ও থাকে যা ভুলে তারা নতুনভাবে নতুন পরিচয়ে বাঁচতে চায়। ড্রামার লিড ক্যারেক্টার Baek Hee Sang একজন মেটাল ওয়ার্কার। স্ত্রী ও ৫ বছরের মেয়েকে নিয়ে যার সুখের জীবন।তবে এটাই তার একমাত্র পরিচয় নয় তার এক অন্ধকার অতীত রয়েছে যা সে তার ওয়াইফ Cha Ji Wan থেকে লুকাতে চায় যে একজন ডিটেকটিভ।
The flower of evil deeds
ঘটনার শুরু সেখান থেকে যখন Ji Wan একটি মার্ডার কেস ইনভেস্টিগেট শুরু করে ঘটনাক্রমে যা Baek এর অতীত এর সাথে সম্পর্কিত।ড্রামার শুরু থেকেই একটা থ্রিল আর সাসপেন্স নিয়ে এগিয়ে গিয়েছে আর প্রত্যেক টা মুহূর্ত ই ছিলো আনপ্রেডিক্টেবল।
- মুন লাভারস: স্কারলেট হার্ট রাইও
- বিতর্কের বিষয় : Lee Min Ho is better than Park Seo Joon 13
- বিতর্কের বিষয় : Lee Min Ho is better than Park Seo Joon 12
- বিতর্কের বিষয়ঃ LEE MIN HO IS BETTER THAN PARK SEO JOON=11
প্রত্যেক এপিসোড এর শেষে মনে হয়েছে কি হতে পারে? এখন কি হবে? আসলেই কে মার্ডারার? কখনো বা Baek কে ভিলেন মনে হয়েছে কখনো তার জন্য মায়া হয়েছে। এক মুহুর্ত যদি থ্রিলিং ফিলিং পরের মুহূর্তেই ইমোশনাল। সব মিলিয়ে এই ড্রামাটি এক রোলার কোস্টার ইমোশন এর সৃষ্টি করে।
ড্রামার ভালো লাগার বিষয়গুলো: 1. CHARACTERS: ড্রামার প্রত্যেক টি ক্যারেক্টার ই নিজের জায়গায় পারফেক্ট ছিলো। প্রত্যেক সিচুয়েশনে তারা তেমন বিহেভ ই করেছে যেমন তাদের করা উচিত।
2. UNIQUE STORYLINE: মেইনলি থ্রিলার সিরিজ যেমন হয় তার থেকে সরে গিয়ে এখানে ইমোশন , লাভ, রিলেশনশিপস, চাইল্ডহুড ট্রমা সবকিছু খুব সুন্দর করে তুলে ধরা হয়েছে। প্রত্যেক মুহূর্তের সাসপেন্স , আনপ্রেডিক্টেবলনেস ড্রামা কে একটি আলাদা সৌন্দর্য দিয়েছে।
Wicked Netflix flowers
3. EXPRESSION OF LEE JOON GI: শুরু থেকেই তার ভাবলেশহীন মুখভঙ্গি , মানুষের ইমোশন বুঝার চেষ্টা , ইমোশনাল সিনগুলো তে তার কান্না , ইমোশন এক্সপ্রেস সব কিছু ক্যারেক্টার কে একটা আলাদা রকম পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছে।
4. CHEMISTRY BETWEEN THE LEADS: থ্রিলার সিরিজ হলেও লিডদের ক্যামিস্ট্রি ছিলো অসাধারণ। Ji wan এর Baek Hee Sung এর প্রতি ভালোবাসা, ওদের পাস্ট মোমেন্টস , লাভ স্টোরি সব ছিলো অত্যন্ত সুন্দর।
5. RELATİONSHİP between the FATHER & DAUGHTER: ড্রামায় বাবা Baek Hee Sung আর কন্যা EUN HAA এর স্ক্রিন টাইম কম হলেও তাদের প্রত্যেক টা মুহূর্ত ই হার্ট ওয়েলমিং। ফ্লাশব্যাক এ প্রথমবার কন্যা কে কোলে নেওয়া, তার বেড়ে উঠার দিনগুলো, কন্যার বাবাকে পৃথিবীতে সবথেকে বেশি ভালোবাসা তাকেই পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ উপহার ভাবা, ছোট ছোট প্রত্যেক টা মোমেন্টস ই সুন্দর।
6. THE VILLAIN: ভিলেনের এন্ট্রি টা একদম পারফেক্ট ছিলো। আর যেভাবে ভিলেনের ক্যারেক্টার টা প্রোট্রে করা হয়েছে তা নির্দ্বিধায় একদম পারফেক্ট।
এছাড়া ও ড্রামার OST ( Feel you, in my heart) গুলো ড্রামার সৌন্দর্য বাড়িয়ে দিয়েছে। সব মিলিয়ে ড্রামার প্রত্যেক টা মোমেন্ট, যেভাবে স্টোরি এগিয়ে গিয়েছে , পর্যায়ক্রমে কখনো থ্রিলিং , কখনো ইমোশন মিলে Flower Of Evil আমার কাছে অবশ্যই এক মাস্টারপিস ড্রামা হয়ে থাকবে।
Evil flower
নাটকের নাম: FLOWER OF EVİL
Genre : মাথা খারাপ করা ড্রামা
Episodes : 20 ( সাথে দুইবার রাতে স্বপ্ন দেখবেন। So that makes it 22)
symptoms after watching this drama : রাতে ঘুমের মধ্যে কেউ আপনাকে মারতে আসছে এই স্বপ্ন দেখা।
সবসময় আপনি হাটার সময় কেউ আপনাকে ফলো করছে মনে হওয়া। আপনার বন্ধু আপনাকে জল দিলেও তাকে বিশ্বাস না করা। কেউ আপনাকে সাহায্য করলেও সে আপনার ক্ষতি করতে চায় মনে হওয়া। মাঝে মাঝে ” আচ্ছা আমিতো ভালোনা। হঠাত কেনো ভালো মানুষের মতো আচরণ করছি। আমার মাথার মধ্যেও কি অন্য কারো ব্রেন ট্রান্সপ্লান্ট করা? ” এই চিন্তা আসা।
Caution : ড্রামাটি দেখে আপনার মাঝে মাঝে নিজেকে বা আপনার আশেপাশের মানুষদের ” PSYCO SIKKIYA ” মনে হতে পারে (যেটা খুবই স্বাভাবিক)।
Recently ড্রামাটা শেষ করলাম। প্রথমেই বলতে চাই ড্রামাটার happy ending দেখে যতটা happy হয়েছি তার থেকেও বেশি sad হয়েছি, Happy হয়েছি, কারণ ড্রামাটা অনেক সুন্দর ছিল। sad হয়েছি, কারণ মেইন লিডের রিয়েল কাহিনি শুনে। খুব ভালো মুড নিয়েই ড্রামাটা দেখছিলাম হঠাত করে আমার ফ্রেন্ড বললো যে ড্রামার মেইন কাপল নাকি রিয়েল লাইফে ম্যারেড ।
Evil cast flowers
এই শুনে আমিতো সেই লেভেলের খুশি। কিন্তু খুশি ছিলাম মাত্র ১৫সেকেন্ড। তারপরেই সে বললো যে তাদের নাকি এরই মধ্যে ডিভোর্স হয়ে গেছে। এরপর থেকে পুরোটা টাইম ড্রামা দেখছিলাম আর ভাবছিলাম যে ড্রামাটার কি হ্যাপি এন্ডিং হবে? হলেও কি আমি হ্যাপি হবো? By the way, to be very honest thats a beautiful drama ড্রামার মেইন কাপলদেরতো ভালো লেগেছেই। সাথে সাথে সেকেন্ড কাপলকেউ অনেক ভালো লেগেছে ।
ভাই সেকেন্ড লিড কাপলটা appreciate করার মতো। অনেক কম সেকেন্ড লিড কাপলকেই এত্ত ভালো লাগছে। সবথেকে ভালো লেগেছে যে ড্রামাতে কারো দেবদাসের মতো হৃদয় ভঙ্গন দেখতে হয়নি। স্কুল জীবনে এক ডকুমেন্টরি করতে গিয়ে বন্ধুত্বের শুরু দুজনের। ছেলেবেলার ঝগড়া খুনশুটির বন্ধুত্ব স্কুল পেরিয়ে কলেজ অবদি নিয়ে যায় আর সম্পর্কটাও বন্ধুত্ব ছাড়িয়ে প্রণয়ে রূপ নেয়। কিন্তু ওই যে বাউন্ডুলে ছেলেটি যে কী না শান্তি খুঁজে পায় ছবি আঁকায়, প্রকৃতির গাঢ় সবুজে।
স্বপ্ন নেই, লক্ষ নেই, দায়িত্বের আধিক্যতা নেই। প্রেম তার কাছে তীব্র আবেগ বটে কিন্তু জীবনের অংশ হয়ে ওঠেনি। এদিকে মেয়েটি এতটুকু বয়সে দারিদ্রের কষাঘাতে দায়িত্বের সব বোঝা একা কাঁধে নিয়ে পথ চলতে শুরু করে। টিকে থাকাই যেখানে কঠিন সেখানে প্রেম তো বিলাসিতা। সুখ-দুঃখের ভাগ দেয়ার সম্পর্ক মেয়েটি তখনো শেখেনি। তার কাছেও প্রেম তীব্র আবেগ বটে তবে জীবনের অংশ হতে পারেনি।
Flowers of evil essence
তাই আনাড়ি সম্পর্কের যবনিকা টেনে দিয়ে দুজনের পথ একসময় আলাদা হয়ে যায়। দীর্ঘ কয়েকবছরে পরে আবারো দুজন মুখোমুখি হয়েছে সেই ডকুমেন্টরির অজুহাতে। এতদিনে দুজনেই নিজেদের জায়গায় সফল হয়েছে। বয়সের সাথে সাথে মন পরিণত হয়েছে। বুঝতে শিখেছে জীবনবোধ। অনেক অভিমান-অভিযোগ এর পালা শেষে একটু একটু করে আবেগের দরজা খুলতে শুরু করে। ছেলেবেলার সদ্য অঙ্কুরিত ভালোবাসা এতদিন জমে জমে বড় ভারি হয়ে উঠেছে।
কাছাকাছি এসে এবার সে ভার কমেছে কিছুটা। এদিকে ডকুমেন্টরি করতে গিয়ে ক্যামেরার পেছনে রচনা হয় প্রডিউসারের আরেক গল্প। এই গল্পে সুখস্মৃতির অস্তিত্ব নেই বললেই চলে। মা আছে অথচ মায়ের গা ঘেষা উষ্ণ ভালোবাসা নেই, ভালোবাসার মানুষটি আছে কিন্তু জানাতেই পারেনি সুপ্ত আবেগের কথা। জীবন যখন যন্ত্রের মত নিথর হয়ে উঠেছে তখন বুঝতে পারে আসলে পাশে মা ছিলেন, বন্ধুর বন্ধুত্ব ছিল আর ছিল সব সময় পাশে থাকা সত্যিকারের সঙ্গী যার ভালোবাসার স্পন্দন শুনতে পায়নি এতদিন।
The flower of evil drama
আচ্ছা জীবনের কোন এক সময় গিয়ে কী মনে হয়েছে সম্পর্ক আর প্রত্যাশার বেড়াজালে হারিয়ে যাচ্ছি? মনের বিরুদ্ধে গিয়ে, অনেক ত্যাগ স্বীকার করে সব কষ্টগুলোকে নিজের করে নিয়ে কাদের ভালো রাখতে চাই আমরা? প্রিয় মানুষগুলোকে? ভুলে যাই আমরাও তাঁদের খুব প্রিয় কেউ। আমরা নিজেদের জীবন নিজেরাই দুর্বিষহ করে তুলি।
অথচ চাইলেই পারি আরো একটু ভালো থাকতে। নিজের মনের বিরুদ্ধে গিয়ে নয় বরং মনের কথা শুনলেই আমরা সবাইকে নিয়ে ভালো থাকতে পারি। সম্পর্কগুলোও যত্নে রাখা যায় তখন। নাটকের মূল গল্পের বাইরে গিয়েও আছে আরো মিষ্টি মধুর গল্পকথা। সব মিলিয়ে ‘our beloved summer’ সুখ দর্শন হবে নিশ্চিত।