মাননীয় মডারেটর, এডমিন, প্রতিপক্ষ বন্ধুরা এবং গ্রুপ মেম্বারগন – সবাইকে আমার অন্তরের অন্তস্থঃ থেকে শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি আমাদের আজকের বিতর্ক। বক্তব্যের শুরুতেই আয়োজকদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি এমন গঠনমূলক পদ্ধতিতে আলোচনা সমালোচনা এবং নতুন তথ্য প্রদান ও জেনে নেওয়ার সুযোগ তৈরির জন্য৷
আমাদের বিতর্কের বিষয়
আমাদের বিতর্কের বিষয় নির্ধারিত হয়েছে, ” Lee Min Ho is better than Park Seo Joon” বিষয়টির পক্ষে সুদৃঢ় অবস্থান জ্ঞাপন করছি আমি তাহমিনা। আমাদের আজকের বিষয়টি লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে এতে ব্যবহৃত clause টি হচ্ছে ‘ is better than’, ‘is more experimental than’, বা ‘has achieved success quicker than’ না।
এমনকি এক্টর কথা টিও বিষয়ে উল্লেখ নেই। সুতরাং ধরে নেওয়া যায় সার্বিক ভাবে কে বেটার সেটা প্রমাণ করাই এখানে মুখ্য। পক্ষের অংশগ্রহণকারীরা ইতোমধ্যে যথেষ্ট তথ্য উপাত্ত ব্যবহার করে ইন্ডাস্ট্রি তে লি মিন হোর শক্ত অবস্থানের ইতিহাস এবং কারণ বর্ণনা করেছেন৷ আমি সেদিকে না গিয়ে আরো কিছু যুক্তি- তত্ত্ব প্রদর্শন এবং বিপক্ষের কিছু যুক্তি খন্ডন করবো।
মাননীয় মডারেটর, প্রথমেই বলতে চাই প্রতিপক্ষ বন্ধুদের দাবী করা কিছু যুক্তি নিয়ে: আমার প্রতিপক্ষ বন্ধুরা লি মিন হোর নেগেটিভ দিক হিসেবে যে বিষয় টি সবচেয়ে বেশি তুলে ধরেছে সেটি হলো, লি মিন হো একই ধরনের অভিনয় করে, এক্সপেরিমেন্টাল রোল তেমন নেয় না বা ক্যারেক্টার/লুক নিয়ে রিস্ক নেয় না।
রিসেন্ট ড্রামায়
এদিক দিয়ে যদি দেখি, Park Seo Joon তার রিসেন্ট ড্রামায় চুল কেটে রিস্ক নিয়েছিলেন। কিন্তু যদি ২০০৯ এর দিকে তাকাই, স্ট্রেইট চুলের ট্রেন্ড ওয়ালা কোরিয়ান ইন্ডাস্ট্রিতে প্রথম ব্রেকথ্রু রোলেই কিন্তু লি মিন হো চুল কার্ল করার রিস্ক নিয়েছিলেন। লি মিন হো একটি ইন্টারভিউ তে বলেছেন যে এটা নিয়ে মানুষ হাসাহাসি করার যথেষ্ট সম্ভাবনা ছিল যদি ড্রামাটা হিট না করতো।
- বিতর্কের বিষয় : Lee min ho is better than Park Seo Joon
- দক্ষতা প্রকাশের মতো সুযোগ কতোটা হয়েছে
- Park Seo Joon তার অভিনয়ের ভেরিয়েশ
- অনেকেই বলেছেন seo joon দেখতে সুন্দর না
এমন কি ড্রামা টা হিট করার পর ও কিন্তু অনেকেই এখনো ওই লুক টা পছন্দ করেন না। এখানে বলে রাখি, লি মিন হোর চুল ন্যাচারালি এত সোজা যে কার্ল করতে ঝামেলা হয় এবং এ রোলের জন্য তাকে দিনে দুইবার করে পার্ম করতে হতো চুল।
এখন আমার প্রতিপক্ষের কাছে প্রশ্ন, যে ইন্ডাস্ট্রিতে নিজের জায়গা গড়ে তোলার পর চুল কেটে নেওয়া টা বেশি রিস্ক নাকি প্রথম লিড রোলে লুক নিয়ে এমন এক্সপেরিমেন্ট করা যেটা খুব বেশি এক্সেপটেড না আর চুলের ক্ষতিও হতে পারে সেটা বেশি রিস্ক তারপর যদি গ্যাংনাম ব্লুজ এর দিকে তাকাই, কোরিয়ার মেইল এক্টর রা যেখানে ফ্লাওয়ার বয় ইমেজ মেইনটেইন করে, সেখানে এই রোলের জন্য লি মিন হো কয়েক মাস ধরে ফেসিয়াল হেয়ার গ্রো করেছে এবং সব ধরনের স্কিন কেয়ারের প্রসাধনী ব্যবহার বাদ দিয়েছে বস্তির গ্যাংস্টার লুক আনার জন্য।
ক্যারেকটার নিয়ে
এই সময় তার এতটা চেঞ্জ ই এসেছিল যে তার স্কিন আগের অবস্থায় ফিরে যেতে ৬ মাস সময় লেগেছিল। এরপর যদি আসি ক্যারেকটার নিয়ে রিস্ক নেওয়ার ব্যাপারে, গ্যাংনাম ব্লুজ দিয়েই শুরু করি। কারো নিশ্চয়ই অজানা নেই যে ওপ্পার পায়ে একটা ধাতব পাত লাগানো আছে এক্সিডেন্ট এর কারণে৷ সেটা নিয়েও তিনি যেভাবে স্মুথলি একশন করেছেন এই মুভিতে সেটা কিন্তু যথেষ্ট প্রশংসা পেয়েছে। ক্রিটিক রা যথেষ্ট প্রশংসা করেছেন এই অভিনয় নিয়ে।
আর এটাও কিন্তু লিড হিসেবে তার প্রথম সিনেমা ছিল। একশন হিরো হিসেবে বেশি খ্যাতি পাওয়া জি চ্যাংউক ও যখন ইনজুরির কারণে একশন এভয়েড করছেন সেখানে এত বিশাল ইনজুরির পরও লি মিন হো সিটি হান্টার, বাউন্টি হান্টারের মতো একশন প্রজেক্টে ও কাজ করেছেন। এরপর যদি রিস্ক নিয়ে বলি তাহলে বলতে হয় ২০১০ সালে গে চরিত্র এক্সেপ্ট করা নিয়ে।
এটা নিয়ে অনেক প্রশ্নের সম্মুখীন হয়েছিলেন লি মিন হো। একটা নাটকে সাফল্য পাওয়ার পরই দ্বিতীয় প্রজেক্টে গে হিসেবে নিজেকে প্রেজেন্ট করা তাও সন ইয়ে জিন এর মত নায়িকার পাশে, চ্যালেঞ্জিং ই, তাইনা? সন ইয়ে জিন, জুন জি হিউন এর মত নামকরা আর বয়সে বড় নায়িকাদের পাশে পাল্লা দিয়ে অভিনয় করেও নিজেকে তুলে ধরা, নিজের জায়গা করে নেওয়াটাও কিন্তু কম চ্যালেঞ্জিং না।
হাইস্কুল স্টুডেন্ট ক্যারেকটার
তাছাড়াও ২৭ বছর বয়সে হাইস্কুল স্টুডেন্ট ক্যারেকটার ফুটিয়ে তুলতেও কিন্তু তার অভিনয়শৈলী কেই চ্যালেঞ্জ করতে হয়েছে। এমন না যে সে বেবিফেইস তাই মানিয়ে গেছে। ম্যাচিউরড ক্যারেকটার, একশন, হিস্টরিকাল এর পর নিজেকে আবার স্কুলবয় ইমেজে দাড়া করানোর চ্যালেঞ্জ কিন্তু তিনি সফলভাবেই উতড়েছেন।এরপরে ও চ্যালেঞ্জ-এক্সপেরিমেন্ট আর রিস্ক নিয়ে কিছু বলতে চাইলে টাইমলাইনের দিকে নজর দিতেও আমি প্রতিপক্ষকে অনুরোধ করবো।
২০০৯-২০১৪ তে ড্রামার ট্রেন্ড আর ২০১৫-২০২০ এ ড্রামার ট্রেন্ড কিন্তু এক না।লি মিন হো নিজেই চিজি রোম্যান্টিক রোলের থেকে ম্যানলি একশন রোল বেশি পছন্দ করে। কিন্তু দর্শক তাকে রোম্যান্টিক রোলের জন্য বেশি পছন্দ করায় সে ওই জাতীয় স্ক্রিপ্ট পায় বেশি৷ এখানে একটা উদাহরণ টানতে চাই। ‘স্লামডগ মিলিওনিয়ার’ বলিউডের খুব নামকরা সিনেমা।
অজস্র পুরস্কার পাওয়া এই সিনেমায় স্লামডগের ছেলেটার রোলে যদি শাহরুখ বা ঋত্বিক কে চাই তাহলে কিন্তু মানাবে না। কিন্তু তার মানে এই না তাদের থেকে সার্বিকভাবে ওই ছেলেটা ভালো অভিনেতা। তা না হলে মোস্টলি রোম্যান্টিক অভিনয় করেও শাহরুখ এর নাম “কিং খান” হতো না বা এত কম কাজ করেও ঋত্বিক এত জনপ্রিয় হতোনা।
অভিনয়শৈলী নিয়ে
এরপর যদি আসি অভিনয়শৈলী নিয়ে.. লি মিন হোর গ্লোবাল এক্টর টাইটেল টা কারো অজানা নেই। শুধু সৌন্দর্যের জন্য হলে কিন্তু টাইটেল টা ACTOR হতো না। পার্ক সেও জুনের মুভি হিট নিয়ে অনেক কথা বলছেন আপনারা কি কি ধরনের কাজ করেছেন তাও বলেছেন।এখানে আমি শুধু বলতে চাই, একটা প্রজেক্ট হিট/ব্লকবাস্টার সবার মিলিত এফোর্টে হয় কিন্তু একজন এক্টরের প্রতিভা প্রকাশ পায় তিনি তার অভিনীত চরিত্র টি কত জীবন্ত করে তুলতে পেরেছেন সেটা থেকে।
‘গু জুন পিয়ো ‘ চরিত্রটি এতই জীবন্ত ছিল যে মানুষ লি মিন হোকে ওই নামেই ডেকেছে অনেক দিন৷ ১১ বছর পর ও আমরা মনে রেখেছি গু জুন পিয়ো কে। কেন? চেহারা দেখে? F4 এ তো আরো তিনজন সুদর্শন নায়ক ছিল। নাটকে বরং লি মিন হোর লুক-স্টাইলিং এর চেয়ে তাদের টা বেটার ছিল। তাও কেন লাখ লাখ মানুষ গু জুন পিয়োকেই চিনেছে? অভিনয়ের জন্য।’কিম তান’ চরিত্র ও তাকে ওয়ার্ল্ডওয়াইড ফেইম দিয়েছে।
আজ ৬ বছর পর ও কিম গো ইউন কে এক ইন্টারভিউ তে লি মিন হোর ফার্স্ট ইম্প্রেশন জিজ্ঞেস করলে সে বলে ‘কিম তান’।আর হালের কিং নিয়ে যদি বলি, ড্রামা টা কে ভালো খারাপ যে যাই বলুক এই চরিত্র টা লি মিন হোর জন্যই, অন্য কাউকে এতটা মানাতো না এই কথা কিন্তু মুখে মুখে।আর হ্যা, খুব বেশি হিট না হওয়া গ্যাংনাম ব্লুজ এ আবার ফিরে যাই, সেখানে ভেটেরান এক্টর কি রে ওন কে টক্কর দিয়েছেন লি মিন হো।
ক্রিটিক নোট টা
আমি এ বিষয়ে ক্রিটিক নোট টা সরাসরি তুলে ধরতে চাই:
Modern Korean Cinema’s Pierce Conran called the film “an evocative and immensely entertaining saga that pits a common tale of brotherhood and betrayal against a thrilling period setting mired in violence and corruption” and praised it as “one of the most beautifully designed and lushly filmed Korean productions ever made”.
He found Lee Min-ho “thoroughly convincing as a rising gangster with a cool exterior and emotional core”, but that Kim Rae-won’s performance had “a little less depth”, yet nevertheless was Kim’s best performance since 2006’s Sunflower, in which he also played a gangster.
সেভাবে চিন্তা করলে সেও জুনের সেক্রেটারি কিম এর বস হিসেবে ‘aura’ এর ব্যাপারটা ছাড়া তার চরিত্রের কোন ব্যাপার গুলো এতটা সমাদৃত আমার জানা নেই! কথায় বলে সব বিষয়ে প্রজা হওয়ার চেয়ে এক বিষয়ে রাজা হওয়াও ভালো।লি মিন হোর বিভিন্ন ধরনের রোল গুলোর মাঝে লাভার বয় টাই বেশি সমাদৃত, সেটা যদি মেনেও নেই সেখানেও সে রাজা।
লাভারবয় রূপেও
সে এক লাভারবয় রূপেও যত ভিন্ন ধরনের কাহিনী নিয়ে এসেছে যত জনপ্রিয়তা, পুরস্কার আর নমিনেশন নিয়ে এসেছে সেও জুনের ভার্সাটাইলিটি (!) কিন্তু সেটা পারেনি। লি মিন হোর এওয়ার্ড এন্ড নমিনেশন নিয়ে উইকিপিডিয়ায় আলাদা আর্টিকেল অব্দি আছে! মাননীয় মডারেটর, এরপর আমি বলতে চাই ভার্সাটাইলিটি নিয়ে।আমার কাছে মনে হয়না যে শুধু এক্টিং এ ডিফারেন্ট স্ক্রিপ্ট চুজ করাই ভার্সাটাইলিটি! বরং একটা মানুষের ভিন্ন ভিন্ন কাজ করার দক্ষতাই তার ভার্সাটাইলিটি।
যদি উইকিপিডিয়া তে দুইজনের ইন্ট্রো তে যাই তাহলে দেখা যায়, লি মিন হোর অকুপেশন: এক্টর, সিংগার, মডেল যেখানে সেও জুন শুধু এক্টর।কারোর কাছেই নিশ্চয়ই অজানা না যে লি মিন হো তিন ক্ষেত্রেই কতটা সফল। আমি বলছিনা সেও জুন মডেলিং করেইনা বা খারাপ গায় কিন্তু সফলভাবে ৩ টাকেই এগিয়ে নিয়ে গেছে কিন্তু লি মিন হো ই।
বিভিন্ন দেশে তার গানের কনসার্ট, মডেলিং, এম্বাসেডর হওয়া, হলিউডের অফার সবকিছুই তার প্রমান।এরপর আমি আসতে চাই আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে। টাইমলাইন আর কাজের ফ্রিকোয়েন্সী!পার্ক সেও জুন এর থেকে লি মিন হো বেশিদিন ইন্ডাস্ট্রিতে আছে, এটা যেমন সত্য দুইজনের করা কাজের সংখ্যা কিন্তু প্রায় সমান ই।
অত্যন্ত বুদ্ধিমত্বার
পার্ক সেও জুন অত্যন্ত বুদ্ধিমত্বার সাথে ক্যারিয়ার শুরুর আগেই মিলিটারি সার্ভিস সেরে এসেছেন, ক্যারিয়ারে নেন নি বড় কোন ব্রেক।এন্টারটেইনমেন্ট ইন্ডাস্ট্রিতে কন্টিনিউটি খুব বড় ব্যাপার। চোখের আড়াল হলে মনের আড়াল হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। সেখানে মাইনর রোলে কাজ করার সময়েই লি মিন হো ব্রেক নিয়েছেন, চার বছরের বড়সড় ব্রেক নিয়েছেন ক্যারিয়ারের গোল্ডেন পিরিয়ডে।
যার দু বছর মিলিটারি তে।একদম সোশ্যাল মিডিয়ার ও বাইরে। আর এই সময়টাই ছিল সেও জুনের ক্যারিয়ারের গোল্ডেন টাইম। তাও কিন্তু সে লি মিন হো কে টপকে যেতে পারেনি।সফলতা পাওয়ার চেয়ে ধরে রাখা অনেক কঠিন। সত্যিকারের ট্যালেন্টেড মানুষগুলোই সেটা ধরে রাখতে পারে। Won bin যেমন ১০ বছর গ্যাপের পর ও এখনো ভালো ভালো অফার পায়, জুন জি হিউন যেমন অনেক গ্যাপ এ গ্যাপ এ কাজ করেও হাইয়েস্ট পেইড আর জনপ্রিয়তার ও তুংগে, লি মিন হো ও তার ক্যারিয়ারে গ্যাপ দিয়ে দিয়ে কাজ করেও জনপ্রিয়তা ধরে রেখেছে।
৪ বছরের গ্যাপের পর ও ইন্টারন্যাশনাল ফ্যান রা কিং কে যেই ভালোবাসা দিয়েছে এটাই তার প্রমান। আর এই ব্যাপারে সেও জুনের সাফল্য আসবে কিনা তা এখনো অজানা।আমার এই দীর্ঘ আলোচনা ছাড়াও লি মিন হোর প্রফেশনালিজম, ব্যাক্তিত্ব, ক্যারিয়ারের বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত, মানবতা সবকিছুই বারবার প্রমাণ করে কেন লি মিন হো সেরা।
প্রতিপক্ষ বলে
এরপরেও যদি প্রতিপক্ষ বলে সেও জুন সেরা তবে একটা কথাই বলবো, একজন ঘুমন্ত মানুষ কে জাগানো সম্ভব, কিন্তু যে জেগে জেগে ঘুমায়, তাকে জাগানো কোনদিনও সম্ভব না।তাই প্রতিপক্ষ বন্ধুরা, আসুন তর্কের খাতিরে তর্ক না করে একসাথে গলা মিলিয়ে বলি, LEE MIN HO IS BETTER THAN PARK SEO JOON.
ধন্যবাদ মাননীয় মডারেটর, ধন্যবাদ সবাইকে।(একটা বিষয় বলে রাখা ভালো যে PSJ কে আমার অপছন্দ না, দুইজন নিজেদের জায়গায় কষ্ট করে নিজেদের অবস্থান অর্জন করেছেন। তাই তুলনার ব্যাপারটা আমার পছন্দ হয়নি। তাই কাল থেকে অনেকবার ভেবেছি অংশ নিব কিনা কিন্তু অমূলক ভাবে এটাক করার চেয়ে যুক্তি দিয়ে আলোচনা ভালো আর লি মিন হোর কয়েকটা বিষয় নিয়ে কেউ এখনো কথা বলেনি দেখে আমার স্কুল লাইফের বিতার্কিক সত্ত্বা আর এভয়েড করতে পারেনি বিতর্ক টা কে)