Categories
Blogs

রিভিউ দেয়ার ইচ্ছে ছিলো না কারণ লেখার মতো ভাষা নেই

May 26 2021

সাহাবী মুয়াবিয়া পুত্রের হাতে ইসলামিক খিলাফতের নীতির পতন হবে আর ইমাম ভাতৃদ্বয়ের মৃত্যু হবে– এই কথা জানার পর মুয়াবিয়া (রা) কেঁদে বলেন এই সন্তান আসলে তিনি পৃথিবীতে রাখবেন না।

যথাসময়ে মুয়াবিয়াপত্নী পুত্রসন্তানের জন্ম দেন। সন্তানের মুখপানে চেয়ে মুয়াবিয়া (রা) ভাবেন কী করে এমন ফুটফুটে এক শিশু এমন কিছুতে পরিণত হতে পারে। তাই তিনি সব কিছুর ছায়ার বাইরে দূরে কোথাও লালনপালন করার ব্যবস্থা করেন।

নিয়তির জালে, সময়ের চক্রে কোনো কিছুর ব্যত্যয় হয়না। কারবালার প্রান্তরে নিয়তির বাঁধনে সবাইকেই জড়াতে হয়, তাই বলে অবশ্যম্ভাবী জেনেও পিতা-মাতা কী পেরেছিলেন সন্তানকে মৃত্যুমুখে ফেলে দিতে?

(অ্যারাবিয়ান কিসাস/গল্প অবলম্বনে)

Drama: Mouse
Language: Hangeul/ Korean
Episode: 20 episodes, 2 spin off and 1 special ep
Genre: Crime, Thriller, Sci-fi
Imdb rating: 8.8
Mydramalist: 8.7

একটা মানুষ কেমন হবে সেটা নির্ভর করে তার জিনের উপর। প্রকৃতির খেয়ালে কিছু মানুষ ভিন্ন প্রকৃতির জিনের ধারক-বাহক হয়। সেই ভিন্ন জিনের প্রভাবে সে অসম্ভব মেধার অধিকারী হয়। প্রতিটা জিনিসের মাঝে ভালো-মন্দ উভয় রকম উপযোগিতা থাকে।

এই মেধাবী জিনও তার ব্যতিক্রম না। সে তার ধারককে হয় তীব্র অন্ধকার জগতে টেনে নিবে অথবা তীব্র আলোয় ভরিয়ে দিবে। হয় সে ভয়ানক সাইকোপ্যাথ হবে নয়তো যুগের সেরা জিনিয়াস হবে।

কিন্তু জন্ম নেয়ার আগেই যদি সেই ভিন্ন জিনকে চিহ্নিত করা যায় তবে? তবে সেই শিশুকে পৃথিবীর আলোয় না আনাটা কি যৌক্তিক? সেই জিনের ধারক না হয়েও আমরা কী তার চেয়ে বড় সাইকোপ্যাথ হয়ে যাই না?

সেই ভিন্ন জিনের অধিকারী অপরাধ করার আগেই রায় দিয়ে মৃত্যুদণ্ড দেয়াটা কী অলমাইটিকে চ্যালেঞ্জ করা হয় না?

প্লটঃ

১৯৯৫ সাল। এক সুন্দর পরিবার তাদের ছোটো ছেলের জন্মদিনে ঘুরতে গিয়ে সিরিয়াল কিলার- হেড হান্টারের এর শিকারে পরিণত হয়। তখন এক বিজ্ঞানীর আবিষ্কারের আলোকে ভ্রুণ থাকা অবস্থায় কে ভবিষ্যৎ অপরাধী হতে যাচ্ছে তা নির্ধারণ করে গর্ভপাত ঘটানোকে বৈধতা দিয়ে আইন পাশ করার বিল উত্থাপিত হয়।

২০২০ সাল। Ko Moo Chi বেপরোয়া পুলিশ অফিসার। লক্ষ্য- ভয়ানক কোনো অপরাধীকে বিচারবহির্ভূত খুন করা। তা জানা সত্ত্বেও সহকর্মী সবাই তাকে আগলে আগলে রাখে। কিন্তু কেনো?
Jeong Ba Reum আরেক জুনিয়র পুলিশ অফিসার।

হাসি-খুশি প্রাণবন্ত এক যুবক, সামান্য ভায়োলেন্সও যার সহ্য হয় না। ঘটনার প্রবাহে এই দুজন জড়িয়ে যায় গা-হিম করে দেয়া এক সিরিয়াল কিলিং কেইসের তদন্তে। কী মোড় নিয়ে আসবে এই কেইস তাদের জীবনে– জানতে হলে মাথার নিউরণগুলোর উপর অত্যাচার করে পর্যবেক্ষণ করে যান বাক্সবন্দি ইঁদুর টাকে।

অভিনয়ঃ

বড়দের ব্যাপারে বলার কিছু নেই। তারা যার যার চরিত্র চমৎকার ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। আমি বলতে চাই শিশু শিল্পী গুলোর কথা। তারা আমার মনে একটা আলাদা জায়গা করে নিয়েছে। এতো সুন্দর অভিনয়! ওদের স্ক্রিন টাইম আরো বেশি থাকলেও আমার কাছে একটুও অতিরিক্ত মনে হতো না।

স্পেশালি Jae Hoon চরিত্রে অভিনয় করা Kim Kang-hoon এর জন্য ভালোবাসা। পুরো সিরিজে ওকে আলাদা ভাবে ভালো লেগেছে। ওর প্রার্থনাতে এতোটা আকুতি ছিলো, আমার হৃদয়ে স্পর্শ করে গিয়েছে।

মতামতঃ

সাধারণত ড্রামা দেখি রিলাক্সড থাকার জন্য। কিন্তু মাউস উল্টো খাটিয়ে ছেড়েছে। আমার তিনটা হাইপোথিসিস ছিলো যার মাঝে আড়াইটা সঠিক হয়েছে। একটার কারণ ভুল ভেবেছিলাম তবে ঘটনা বা ফলাফল সঠিক ছিলো।

একটা হেড হান্টার সম্পর্কে। একটা মুজিন সিরিয়াল কিলার সম্পর্কে। আরেকটা দুই স্পেশাল জিনের অধিকারীর মধ্যকার কানেকশন সম্পর্কে।

রিভিউ দেয়ার ইচ্ছে ছিলো না কারণ লেখার মতো ভাষা নেই। তবুও তায়্যিবার কথায় দেয়া। এই ড্রামা নিয়ে মতামত দিতে গেলেই স্পয়লার চলে আসে তাই বরং একটা গল্প দিয়ে শেষ করি।
১৯৩৯ সাল।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের দাবদাহ। এক শাসকের স্বপ্ন তার দেশের মানুষ হবে বাকী পৃথিবী থেকে উন্নত। তাই গোপনে একটা প্রজেক্ট শুরু করলো। শারীরিক মানসিকভাবে নিখুঁত নারী-পুরুষ বাছাই করে নিলো। তাদের মাঝেও সেই উন্নত জাতির আশ্বাস দেয়া হলো।

বিজ্ঞানীদের দেয়া নির্দিষ্ট স্ট্যান্ডার্ড অনুযায়ী কাপল তৈরি করে দেয়া হলো, যারা একে অপরের নামটা পর্যন্ত জানতে পারলো না শুধুই চোখের দেখা। নির্ধারিত সময়ে অভিজাত জাতির কর্ণধার হিসেবে অসংখ্য শিশুর জন্ম হলো, যাদেরকে মায়ের কোল থেকে নিয়ে উন্নত নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে বড় করা হতে লাগলো। একসময় যুদ্ধ থেমে যায়, সেই শাসকের পরাজয় হয়। আর শিশুগুলোর ভাগ্যে কী হলো সেটা অজানাই রয়ে গেলো।

সবাই নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন আমি জার্মানির কথা বলছি, এডলফ হিটলারের কথা বলছি। মানুষ নিয়তির পুতুল, নিয়তি সে কী মানুষের হাতে কখনো ধরা দেয়!

প্রথমেই বলি সকলেরই অধিকার আছে তাদের মতামত দেওয়ার এই কথাটা মনে ধরে বলছি আর কিহ

Now We Are Breaking Up

অনেকেই বলছে ড্রামাটা স্লো আর ড্রপ দিচ্ছেন এটা তাদের নিজস্ব মতামত তাই আমি সম্মান জানাই তাদের মতামত কে আমি ভেবেছিলাম পুরো ড্রামাটা কমপ্লিট করেই রিভিউ দিবো কিন্তু নেগেটিভ পোস্ট দেখে দেখে যে আপনারা নিজেরা দেখছেননা ভালো কথা কিন্তু কেউ জিজ্ঞেস করলে তাকেও না দেখার মতামত দিচ্ছেন এটা আমি মানতে পারছিনা কেননা সবার রুচি এক নাও হতে পারে।

এবার আসি ড্রামা এর কথায়

১। এ ড্রামাটা কোনো ফ্যান্টাসি নাহ
২।এ ড্রামা টিনেজারসদের নিয়ে নয়
৩।এ ড্রামা এর প্লটটাই স্যাডনেস নিয়ে আর এই স্যাডনেস ওভারকাম করার স্টোরি আর তার মধ্যে নিজেকে খোঁজা
৪। এইটা ম্যাচিউরড ড্রামা কিছু একটা সাধারণ জুটির সাধারণ গল্প

যেহেতু আমাদের ড্রামা দেখার স্ট্যান্ডার্ড অনেক হাই তাই আমরা

এটাকে প্রায়োরিটি দিতে পারছিনা

ড্রামাটাই প্রতিটি ক্যারেক্টার এর এক্টিং লেভেলটাই অন্যরকম। আর নায়ক নায়িকার কেমিস্ট্রিতাও বেশ সুন্দর। প্রথম এপিসোডে ওয়ান নাইট স্ট্যান্ড দেখেই অনেকেই অনেক কিছু জাজ করছেন
কিন্তু আমার দিক থেকে আমি যা যা ফলো করেছি সেটা বলি

১।তারা শত বাধা পেরিয়েও নিজেদের সময় দিয়ে ভালোবাসা দিতে চায়
২।তারা সকলের মতামতকে প্রায়োরিটি দিয়েও নিজেদের সময় দেয়
৩।তারা ক্যারিয়ার ছেড়ে ভালোবাসার পেছনে ছুটেনা কারণ এটা নিতান্তই বোকামু
৪।সবকিছু শান্ত মাথায় সিদ্ধান্ত নেয়া
৫।একে অপরের সিদ্ধান্তকে সম্মান দেয়া
৬। নায়কের দুর্দান্ত প্যাশন নাইকার প্রতি কিন্তু সকল সিদ্ধান্ত শান্ত

মানসিকতায়

আর এইসবের মধ্যে তারা যতটা কষ্ট ভোগ করছে তারা তাদের দারুণ অভিনয় দিয়ে ফুটিয়ে তুলেছে

যাদের নায়িকার চরিত্র নিয়ে প্রবলেম যে সং হিয়ো কিয়ো কে নিয়ে যে সে এমন রোলই প্লে করে।

ভাই আমি মনে করি অবশ্যই এটা তার একরকম চরিত্র প্লে করছেনা। এখন ওই যদি নেতানো বা ক্লামজি চরিত্রে করে অবশ্যই প্লটের সাথে তাকে মানাবেনা।

রাইটার সকল দিককে সমান প্রায়োরিটি দিয়েছেন

আর যখনি ড্রামা স্টার্ট হয় একটা করে পোয়েট থাকে শিক্ষণীয়।
নায়ক নায়িকা তাদের আশেপাশের সম্পর্ক গুলোকেও অনেক সময় দেই নিজেদের রোমান্সের মাঝে তারা সবকিছু ভাসায়না স্বাভাবিক আমরা তেমন হাইপ পাইতেসিনা কারণ এই ড্রামার প্লটে সকলেই সাকসেসফুল আপনি যতটুকু দেখবেন শুধুই তাদের রিলেশন লাইফ

আর তার মধ্যে আসা বিভিন্ন বাধার স্টোরি অতএব স্লো লাগাটাই স্বাভাবিক আমার কাছে ভালোই লেগেছে আগেই বলেছি আমাদের ড্রামা দেখার স্ট্যানডার্ড হাই তাই প্লেইন স্টোরি ড্রামা আমাদের ভালো লাগছেনা আপনাদের মতামত ভিন্ন হতেই পারে সেটা ব্যপার নাহ কিন্তু ড্রামাটা নিয়ে অনেকটাই নেগেটিভ রিভিউ দেখলাম তাই যারা দেখা শুরু করেননি তাদের ক্ষেত্রে বললাম ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *